Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-নেত্রী মিলে সড়ক অবরোধ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০১৯, ১০:০৫ PM
আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ১০:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও বিএনপির এক নেত্রী মিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয়দের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে।

রবিবার চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম লালখান বাজার মোড়ে তারা এ অবরোধ গড়ে তোলেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অবরোধকালে শত শত যাত্রীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এদিকে লালখান বাজার সংলগ্ন মতিঝর্ণা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা না হলে ফের সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন এলাকাবাসী।

শনিবার পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৮টি মিটার জব্দ করে জেলা প্রশাসনের টিম। এ সময় লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং বিএনপি নেত্রী সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়েন অভিযানকারীরা। অভিযানে বাধা পেয়ে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে অবৈধ গ্রাহকের পাশাপাশি বৈধ গ্রাহকরাও ভোগান্তিতে পড়েন। এ কারণে রোববার লালখান বাজার ও মতিঝর্ণা এলাকার লোকজন বহদ্দারহাট-আগ্রাবাদ-বিমানবন্দর সড়কের লালখান বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও বিএনপি নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি। অবরোধের কারণে সড়কের চতুর্দিকে যানজট লেগে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশের অনুরোধে মূল সড়ক থেকে সরে এসে লালখান-মতিঝর্ণা সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।

পরে পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম ও বিএনপি নেত্রী মনিকে মুঠোফোনে সিটি মেয়র আ. জ. ম. নাছিরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। মেয়র জেলা প্রশাসক ও পিডিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেওয়ার পরই অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারী লোকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে পুরো এলাকার ট্রান্সফরমার জব্দ করা হচ্ছিল। একদিন পরই রোজা শুরু হচ্ছে। মানুষ বিদ্যুৎ-পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়বে। তাই আমরা ট্রান্সফরমার নিতে বাধা দিয়েছি। ট্রান্সফরমার নিতে না পারলেও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছে।

নারী কাউন্সিলর মনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার ৩০ হাজার মানুষ সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছে। তাই তারা রাস্তায় নেমেছে। আমিও তাদের পাশে ছিলাম। তিনি বলেন, মতিঝর্ণা এলাকায় মাসুমের বাড়ি না হলেও এলাকার মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি আন্দোলনে ছিলেন। এতে অন্য কোনো বিষয় নেই।

খুলশী থানার এসআই আলী বিন কাশেম জানিয়েছেন, সড়ক অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে বিকেলে সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Bootstrap Image Preview