নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য দলাদলির জের ধরে প্রতিপক্ষের আঘাতে সৈয়দ মিজানুর রহমান নামে এক প্রবাসী নিহত হয়েছেন। তিনি কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক । এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ৮ জন।
নোয়াগ্রামের মেম্বর বুলবুল, এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ত্রাণ কাজীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ত্রাণ কাজী সৈয়দ মাসুম গ্রুপের লোক।
এরই জের ধরে আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে দুই গ্রুপ গ্রামে মোহড়া দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে চলে আসে। পুলিশ চলে আসার পরে শনিবার দুপুর ২টার দিকে সৈয়দ মাসুম গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষ সৈয়দ মিজানুরের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ সময় দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের কোপে কুয়েত প্রবাসী কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান মারাত্বক জখম হন। পরে লোহাগড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত সৈয়দ মিজানুর নোয়াগ্রমের মৃত সৈয়দ সিদ্দিক আলীর ছেলে।
লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
অপরপক্ষ সৈয়দ মাসুম রেজা বলেন, সকালে মিজানুরের নেতৃত্বে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছে সৈয়দ বাকি আলী, সৈয়দ ইমরান, সৈয়দ শওকত, সৈয়দ সাচ্চু, সৈয়দ সওশেরসহ অন্তত ৮ জন। আহতরা লোহাগড়া, নড়াইল সদর ও খুলনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, নিহতের পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কেউ আটক হয়নি।