জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলার পৃথক ৪টি তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে ৭ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরীর ডবলমুরিং, বন্দর ও ইপিজেড থানায় পরিচালিত পৃথক এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালযয়ের উপ-পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযান পরিচালনাকালে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ, অননুমোদিত রং, হাইড্রোজ, হাইড্রোজ মিশ্রিত জিলিপি, বাসি খাবার ও পোড়াতেল ধ্বংস করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন এপিবিএন- ৯ এর সদস্যরা।
জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অধিদফতরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, পৃথক চারটি অভিযানে ১৪টি প্রতিষ্ঠান তদারকি করে ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ইপিজেড থানাধীন কলসি দীঘির পাড় এলাকায় মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করাযর অপরাধে বিছমিল্লাহ ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদ উত্তীর্ণওষুধ ধ্বংস করা হয়। একই এলাকায় হাইড্রোজ দিয়ে জিলিপি বানানোর অপরাধে খান জাহান আলী হোটেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ৩৭ কেজি জিলিপি ধবংস করা হয়।
ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলী এলাকায় ফ্রিজে কাঁচা মাংসের সঙ্গে রান্নাকরা খাবার খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ, পোড়া তেল ব্যবহার, জমানো নোংরা পানিতে খাবার প্লেট ধৌতকরণ, সংবাদপত্রে খাবার সংরক্ষণ ও রান্নাঘরের নোংরা অপরিচ্ছন্নতার জন্য পাঠানটুলির সেবা হোটেলকে ২০ হাজার এবং একই এলাকার হারুন হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বন্দর থানার নতুন বন্দর বাজার এলাকায় মধুবন সুইটস এর আউটলেটকে লেবেল ঘষা-মাজা ও লেবেলবিহীন প্যাকেটজাত মিষ্টি বিক্রয়রে জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ৪ প্যাকেট মিষ্টি নষ্ট করা হয়।
তাছাড়া লেবেল বিহীন ফ্লেভার ব্যবহার করায় হক ফুডসকে ১০ হাজার এবং জমানো নোংরা পানিতে বাসন-কোসন ধৌত করায় বশর হোটেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।