Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্যাংকগুলো ঋণের সুদে ডাকাতি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৯ PM
আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যাংকগুলোর ঋণ এবং আমানতের সুদের পার্থক্য বা স্প্রেড ৫ শতাংশের বেশি। বিশ্বব্যাপী স্প্রেড ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে থাকলেও আমাদের দেশে ৫ শতাংশের বেশি। এটা রীতিমতো ডাকাতি বলা চলে।

বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে বিদ্যুৎ ভবনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) 'ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার কমাচ্ছে না। মানুষের আমানতের বিপরীতে ব্যাংক কত সুদ দিচ্ছে, আর ঋণ গ্রহীতাদের থেকে কত হারে সুদ নিচ্ছে? এটা একটা পদ্ধতির মধ্যে আনা দরকার। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বার বার নির্দেশনা দিচ্ছেন, সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু তা হচ্ছে না। সুদের হার কমলে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং তাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যবসার দিকে যেমন লক্ষ্য রাখতে হবে, তেমনি ভোক্তাদের অধিকারও সংরক্ষণ করতে হবে। মানুষ যাতে প্রতারিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে। এজন্য ভোক্তা অধিকার রক্ষায় বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সেমিনারে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে ঋণ খেলাপির পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ব্যাংকে যারা টাকা জমা করে, তারা সুফল পাচ্ছে না। আবার ব্যাংকগুলো বেশি হারে ভোক্তাদের কাছ থেকে সুদ আদায় করে। এই বৈষম্য দূর করতে হবে। ভোক্তাদের স্বার্থে নতুন যেসব আইন প্রণয়ন হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী নয় বলেও দাবি করেন সাবেক এই সচিব। একই সঙ্গে ভোক্তাদের 'পকেট কাটার' বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং জাতীয় বাজেটে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিতের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্যপণ্যে ভেজাল বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে একটি বেগুনও পাওয়া যাবে না যাতে ফরমালিন বা কীটনাশক দেওয়া হয়নি। এই সমস্যা দূর করতে সবার সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কিছু কিছু ব্যবসায়ী এমন কাজ করছে, যা মানুষকে হত্যার শামিল। এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহম্মদ একরামুল্লাহ। আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের প্রমুখ।

Bootstrap Image Preview