Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া! চিন্তায় নাসা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৮ AM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (আইএসএস)-এ মিলেছে ব্যাক্টিরিয়া। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া অফিসে পাওয়া যায়। কিন্তু তা কী ভাবে ওখানে এল, জানা দরকার। তাতে ভবিষ্যতে দীর্ঘ মহাকাশ সফরের সময় আগাম নিরাপত্তা নেওয়া যাবে।’

বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রায়শই নানা অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে। তা থেকে বাঁচতে হলে তাই আগাম সতর্কতা প্রয়োজন। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবের গবেষক কস্তুরী বেঙ্কটেশ্বরন জানান, ‘মহাকাশ সফরে যাওয়া নভোচারীদের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। তা ছাড়া পৃথিবীর মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা তো ওখানে নেই।’

দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে আইএসএস-এর বিভিন্ন জায়গা, যেমন জানালা, শৌচাগার, খাবার টেবিল, শোওয়ার ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ‘কালচার টেকনিক’ ও ‘জিন সিকোয়েন্সিং’ প্রক্রিয়ায় সেগুলোর প্রকৃতি বিচার করা হচ্ছে। মহাকাশে ওই ব্যাকটেরিয়ার চরিত্র বদল হয়েছে কি না, তা-ও লক্ষ্য করা হয়েছে।

গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ব্যাকটেরিয়াগুলি মূলত মনুষ্য-সমাজে পরিচিত, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ব্যাসিলাস ইত্যাদি। স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস যেমন মানুষের ত্বক, নাকে থাকে। এনটেরোব্যাকটর থাকে অন্ত্রে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘জিম, অফিস, হাসপাতালে যে ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, আইএসএস-এ সেগুলোই রয়েছে।’ অর্থাৎ সুযোগ বুঝে নভোচারীদের সঙ্গে মহাকাশযাত্রা করে ফেলেছে তারাও।

এখন, ওই সব ব্যাকটেরিয়ার হামলায় নভোচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন কি না, তা অজানাই। কারণ মহাকাশে ব্যাকটেরিয়া কতটা সক্রিয় তা জানা নেই। পরবর্তী গবেষণায় সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

Bootstrap Image Preview