Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হচ্ছে কানাডা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৯ AM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৮ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় দিগুণ গতিতে বাড়ছে তাপমাত্রা। জলবায়ু পরিবর্তন আর তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর আমেরিকার এ দেশটি।

কানাডার তাপমাত্রা দ্বিগুণ হারে বাড়ার এই বিষয়টি উঠে এসেছে নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। বলা হচ্ছে, দেশটিতে তুষার ও সামুদ্রিক বরফ কমে যাচ্ছে। এর ফলে সৌর বিকিরণ শোষণ বাড়ছে এবং ভূপৃষ্ঠ আরো গরম হচ্ছে। 

দেশটির সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বাড়ার লক্ষণ ইতোমধ্যে দেখা যাচ্ছে। একই সাথে পরিস্থিতি আরো তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলেও সাবধান করা হয়েছে। খবর- বিবিসি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার উত্তরে এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অংশে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ১৯৪৮ সালে প্রথম কানাডায় জাতীয় পর্যায়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এর পর থেকে দেশটির গড় তাপমাত্রা ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। কিন্তু দেশটির উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে ২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

প্রতিবেদনে  আরও বলা হয়েছে, কানাডার গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট। কারণ, উষ্ণায়ন বৃদ্ধির ফলে দেশটিতে যেসব প্রভাব দেখা দেবে সে সম্পর্কেও আগাম ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে আবহাওয়াজনিত চরম পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দাবদাহ বৃদ্ধি পাবে, দাবানল ও খরার হুমকি তৈরি হবে। সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমবে কিন্তু অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কানাডার সীমান্তবর্তী আর্কটিক সমুদ্রে গ্রীষ্মকালে বরফের পরিমাণ মারাত্মক হারে কম হবে। সমুদ্রের পানি বাড়তে থাকবে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনাও বাড়তে থাকবে।

এদিকে, দুই বছর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন যে, সবাইকে এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনার পরিকল্পনায় অংশ নিতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে জ্বালানি তেলের উপর কার্বন নিঃসরণের করা। কার্বন তৈরি করে এমন খাতের জন্য প্রতি টন কার্বনে ২০ কানাডিয়ান ডলার কর দিতে হবে। যা ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের কমানোর ব্যাপারেও মানুষের মতামত পরিবর্তন হচ্ছে।

এই বিষয়ে, টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ হফম্যান বলছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মত পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ তারা এখন সরাসরি পরিবর্তন অনুভব করতে পারছেন। 

Bootstrap Image Preview