শাস্তি হচ্ছেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করে বিশ্রী ভঙ্গিতে উৎসব করায়। কিন্তু কী শাস্তি হচ্ছে তা নিয়েই উৎকণ্ঠা জুভেন্টাসে।
ইটালীয় ফুটবলের ‘ওল্ড লেডি’র ম্যানেজার মাসসিমিলিয়ানো আলেগ্রি রীতিমতো ক্ষিপ্ত। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, ‘‘গোল বা জয়ের পরে যে কেউ উৎসব করতে পারে। কে কী ভাবে সেটা করবে তা তার নিজস্ব ব্যাপার। এটা নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না।’’
আলেগ্রির ধারণা ছিল, উয়েফা শেষ পর্যন্ত বেকসুর মুক্তি দেবে পর্তুগিজ তারকাকে। কিন্তু সে রকম কিছু হচ্ছে না। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, রোনালদো দোষী। তাঁর কী শাস্তি হবে জানা যাবে বৃহস্পতিবার।
তুরিনে রোনালদো যেটা করেছিলেন তা আসলে আতলেতিকো ম্যানেজার দিয়েগো সিমিয়োনের জবাব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে স্পেনের ক্লাবই জিতেছিল ২-০ গোলে। তখন সিমিয়োনে বিশ্রী ভঙ্গি করে জয়ের উৎসব করেন। রোনালদো যেটা করেন তা সেই কুৎসিত উৎসবেরই জবাব। আতলেতিকো ম্যানেজারের কিন্তু সাড়ে পনেরো লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে। যে কারণে স্পেনের ক্লাব উয়েফার কাছে রোনালদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। তাদের বক্তব্য, সিমিয়োনের শাস্তি হলে পর্তুগিজ তারকাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হবে?
এখন দেখার নিছক আর্থিক জরিমানার উপর ব্যাপারটা মিটে যায় কি না। নিয়ম হচ্ছে বিপক্ষ দলের দর্শকদের উদ্দেশ্য করে অঙ্গভঙ্গি করলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের এক ম্যাচ নির্বাসন হতে পারে। সেটা হলে রোনাল্ডো খেলতে পারবেন না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে। আয়খসের সঙ্গে তাদের খেলা ১০ এপ্রিল। রোনাল্ডো এই মুহূর্তে ব্যস্ত জাতীয় দলের সঙ্গে। তাদের পরপর ইউরো ২০২০ কোয়ালিফায়ার্সের খেলা।
ইটালি জাতীয় দলের উইঙ্গার ফেডেরিকো বেনার্ডেস্কি আবার জুভেন্টাসে রোনালদোর সতীর্থ। মহাতারকা সতীর্থকে ঘিরে হঠাৎ তৈরি হওয়া আতঙ্ক নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘যদি সত্যিই ক্রিশ্চিয়ানোকে নির্বাসিত করা হয় তা হলে তার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না। ও যেটা করেছে তা হ্যাটট্রিকের উৎসব ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’’
জাতীয় শিবিরেও এটা নিয়ে রোনালদো কি মানসিক চাপে আছেন? তা নিয়েও জল্পনা চলছে। ফেডেরিকোর মন্তব্য, ‘‘জুভেন্টাসে আমি অন্তত সে রকম কিছুই বুঝিনি। ওর মাথা যথেষ্ট ঠান্ডা ছিল। ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলনও করেছে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, বড় কিছু শাস্তি হবে না। সবই দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’