Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর পলাতক   

শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০১৯, ০৫:০৬ PM
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯, ০৫:০৬ PM

bdmorning Image Preview


নড়াইল সদরের চামরুল গ্রামে জলি বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নড়াইল সদর হাপাসাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর পলাতক রয়েছে।

এবিষয়ে নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার চামরুল গ্রামের বক্কার বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাসের সাথে একই উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ কালাম বিশ্বাসের মেয়ে জলি বেগমের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের লাবিব নামে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহত জলির মা সেলিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে জলির বর পলাশ বিশ্বাস মালয়েশিয়ায় চাকরি করে। শ্বশুরবাড়িতে জলিকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর মাঝে মধ্যে যৌতুক হিসেবে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলতো। কিন্তু আমার স্বামী গ্রাম পুলিশের কাজ করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই আমাদের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন অকারণে নির্যাতন চালাতো।

নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে জলি আমার বাড়িতে চলে আসে। আর নির্যাতন করবে না বলে মৌখিক অঙ্গীকার করে শুক্রবার বিকেলে জলিকে তার দেবর জুয়েল এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে  জলি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেছে। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের সময় পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, জলি খুব অসুস্থ। রাতে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। জলির দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়ের শ্বশুর বক্কার বিশ্বাস, শাশুড়ি জাহেদা বেগম ও দেবর জুয়েল বিশ্বাস পলাতক রয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview