প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় স্কুলছাত্রী, তার দাদি ও এক প্রতিবেশী শিশুকে ছুরিকাঘাত করেছে গৃহশিক্ষক। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন দাদি-নাতনিসহ তিন জন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে নড়াইল সদর উপজেলার বাজার শিঙ্গিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আহতরা হলেন- স্কুলছাত্রী রাবেয়া (১১), তার দাদি জাহানারা বেগম (৫০) ও প্রতিবেশী শিশু হেনা (৮)। আহত শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দাদি-নাতনি দুই জনকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বাজার শিঙ্গিয়া গ্রামের সাইদ বিশ্বাসের ছেলে রকিবুল ইসলাম মিঠু নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করে। একই গ্রামের রতন বিশ্বাসের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী রাবেয়াকে প্রাইভেট পড়াতো মিঠু। এরপর রাবেয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় গৃহশিক্ষক মিঠু। গৃহশিক্ষকের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায় স্কুলছাত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মিঠু।
ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রাবেয়াকে তুলে নিতে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় মিঠুর সঙ্গে তার ভাই ও সহযোগীরাও যায়। একপর্যায়ে জোর করে রাবেয়াকে তুলে নিতে গেলে বাধা দিতে ছুটে আসে প্রতিবেশী মনিরুলের মেয়ে আট বছরের শিশুকন্যা হেনা। এ সময় শিশুটির গলা ও বুকে ছুরি চালায় মিঠু ও তার সহযোগীরা।
বিষয়টি দেখে বাধা দিতে ছুটে আসে রাবেয়ার দাদি জাহানারা বেগম। এ সময় দাদিকে ছুরিকাঘাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় মিঠু ও তার সহযোগীরা। এ সময় ধস্তাধস্তি শুরু করলে রাবেয়াকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন দাদি-নাতনিসহ তিন জন।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় মিঠু ও তার সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, তিন জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। শুক্রবার রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।