সুনামগঞ্জের ছাতকে ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে গিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারে হাতে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ বৈঠকে 'ইজ্জতের মূল্য'র দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করায় হয়।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্কুল থেকে খাসগাও বাজারে জনতা ফার্মেসিতে ওষুধ আনতে গেলে গ্রাম্য ডাক্তার রাদেশ তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফার্মেসির ভিতরে নিয়ে জোরপূবক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর বাজারে ফার্মেসি বন্ধ করে ডাক্তার পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনা নিয়ে গ্রামে দু'পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্কুলছাত্রী খাসগাও বাজারের ওই ফার্মেসিতে ওষুধ আনতে গেলে গ্রাম্য ডাক্তার রাদেশ তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফার্মেসির ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ধর্ষণের ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় মেম্বার করম আলীর নেতৃত্বে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোষে নিস্পত্তির লক্ষে এক শালিশ বৈঠক আয়োজন করা হয়। গত ১১ মার্চ খাসগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ডাক্তার ও নির্যাতিত ছাত্রীর অভিবাবক নিয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ বৈঠকে এলাকার থানা যুবলীগের নেতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান শান্ত এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে গ্রাম্য ডাক্তার রাদেশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। এক পর্যায়ে তার সাথে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার করম আলীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বৈঠকে স্থানীয় ইউপি মেম্বার করম আলী নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ৫০হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনার নিস্পতি চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে জাউয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নিমল দেবনাথ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্যাতিত অভিবাবককে বলা হচ্ছে অভিযোগ দায়ের করতে। অভিযোগ পেলে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শান্ত ও করম আলী মেম্বারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে দু'জনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। গত সোমবার থেকে ডাক্তার তার ফার্মেসি বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।