সাধক কবি তাঁরক গোঁসাইয়ের ১০৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে লোহাগড়ার জয়পুর কবিধামে ৩ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুর থেকে জয় ঢংকার ছান্দসিক শব্দ আর হাজার হাজার মতুয়া অনুসারীদের হরিবোল ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে পড়বে জয়পুর কবিধাম। লক্ষাধিক মতুয়া অনুসারী কবিধামে উপস্থিত হবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
ইতিহাস থেকে জানা গেছে, সাধক পুরুষ তাঁরক গোঁসাই নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জয়পুর গ্রামে বাংলা ১২৫২ সালের ১৫ অগ্রহায়ন জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাশীনাথ সরকার, মা অনপূর্না দেবী। কাশীনাথ ছিলেন একজন পেশাদার কবিয়াল। কবি গান গেয়েই তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। সন্তান না হওয়ায় পুত্রেষ্টী যজ্ঞ করে তিনি পুত্র সন্তান তাঁরককে লাভ করেন। পার্শ্ববর্তী ছাতড়া গ্রামের পাঠশালায় তিনি শিক্ষা লাভ করেন। তাঁরক গোঁসাই বহু অলৌকিক কর্মের অধিকারী ছিলেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি পিতার মতো কবিগান রপ্ত করেন এবং পরবর্তীতে কবিগান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তিনি কবিগান পরিবেশনের পাশাপাশি কবিতা লিখতেন। তাঁর রচিত প্রায় আটশো কবিতা রয়েছে। তিনি মতুয়া ধর্ম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি 'হরিলীলামৃত' গ্রন্থ রচনা করে গেছেন। বাংলা ১৩২১ সালের ফাল্গুন মাসের শিব চতুর্দশী তিথিতে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। জয়পুর পরশ মনি মহাশ্বশানে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
শ্রী তাঁরক চাঁদ মতুয়া সংঘের সভাপতি বিজয় সিকদার জানান, তাঁরক গোঁসাইয়ের ১০৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৪ মার্চ অধিবাস, ৫ মার্চ মহোৎসব, ৬ মার্চ মীন মহোৎসব।
তাঁরক গোঁসাইয়ের ১০৪ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কবিধাম সেজেছে অপরুপ সাজে। এ বছর লক্ষাধিক মতুয়া অনুসারী তাঁরকধামে উপস্থিত হবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন।