বহুল কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের খনন শুরু আগামীকাল

চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বহুল কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মূল নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামীকাল রবিবার।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রকল্পের খনন কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন।

টিবিএম মেশিন দিয়ে এ টানেলের খনন কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য চীন থেকে আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। প্রকল্প এলাকার কাছে খননকাজে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বসানো হয়েছে ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ সাব স্টেশন।

চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ আদলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার জন্য কর্ণফুলীর তলদেশে এই টানেল প্রকল্প নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য যে এরই মধ্যে এ প্রকল্পের ৩২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

চার লেনের দুই টিউব সম্বলিত এ টানেলের দীর্ঘ হবে তিন দশমিক চার কিলোমিটার। আর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে যে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে তা হবে পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ।

এ টানেল একদিকে চট্টগ্রাম শহররে বন্দর এলাকা ও অন্যদিকে আনোয়ারা উপজেলাকে একত্র করবে। টানেল চালু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। কর্ণফুলীর দুই সেতুর ওপর যানবাহনের যে প্রবল চাপ তা অনেকাংশে কমবে বলেও আশা করছে সরকার।

কাঙ্ক্ষিত এ টানেল নির্মাণের জন্য গত বছর ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৫ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমাদের দেশিয় টাকায় যার পরিমাণ আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার যোগান দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করবে।

গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু র্কতৃপক্ষ, চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) ও অভি অরুপ অ্যান্ড পার্টনার্স হংকং লিমিটেড যৌথভাবে টানেলের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষার সম্পূর্ণ রূপরেখা তৈরি করে।

উল্লেখ্য, এই বাণিজ্যিক চুক্তি সেতু কর্তৃপক্ষ ও সিসিসিসির মধ্যে সাক্ষরিত হয়েছিল গত বছরের ৩০ জুন ।

প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের গত সপ্তাহে জানান, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।