পালিয়ে সিরিয়া গিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা আবারও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।
জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল ১৫। সিরিয়ায় যাওয়ার পর এরমধ্যে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে দু'বার। কিন্তু তার আগের দু’টি বাচ্চাই মারা গেছে। এবার ফের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় নিজের তৃতীয় সন্তানকে বাঁচাতে যে কোন মূল্যে দেশে ফেরার আর্জি জানাল শামীমা।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ বলেছেন, আমার বার্তা খুব পরিষ্কার। কেউ যদি বিদেশ গিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করেন, তা হলে তাকে দেশে ঢুকতে বাধা দিতে আমি দ্বিধা করব না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শামীমা নামে ওই তরুণী যদি যুক্তরাজ্যে ফেরেন, তাহলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
শামীমা বলেন, তিনি আবার যুক্তরাজ্য গিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান, যেন তার সন্তান সেখানেই জন্ম নিতে পারে। তবে আইএসে যোগ দেওয়া নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই বলে জানান এই তরুণী।
এই বিষয়ে সাজিদ জাভেদ বলেন, যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি হতে পারে এমন ব্যক্তিদের দেশে ঢুকতে সব সময়ই বাধা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার বা দেশ থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।
তবে সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞ লর্ড কার্লাইল বলছেন, শামীমা বেগম যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিক না হন, তা হলে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে পারবেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো মানুষ রাষ্ট্রহীন হতে পারে না
প্রসঙ্গত, আগে ২০১৫ সালে লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে দুই বান্ধবী খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আব্বাসের সঙ্গে পালিয়ে সিরিয়া যান শামীমা। সেখানে তিনি বিয়ে করেন এক আইএস যোদ্ধাকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তার মোহভঙ্গ হয়। সিরিয়ায় বিনা চিকিৎসায় তার চোখের সামনেই মারা যায় দুই সন্তান। মারা গেছেন সঙ্গে যাওয়া তার দুই বান্ধবীর একজনও। এখন শামীমা আবার নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি আছেন দামেস্কের আল হাওল শরণার্থী শিবিরে।