চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দূষণমুক্ত ও নাব্যতা বৃদ্ধিতে আগামী ১০ বছরের জন্য মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি সংবাদিকদের এ কথা বলেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।
তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যান আগামী সভায় চূড়ান্ত করা হবে। প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ১০ বছরে কত টাকা খরচ হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তাজুল ইসলাম বলেন, দখল ও আবর্জনা ফেলে নষ্ট করা তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী ও বালু নদী পরিষ্কার এবং নাব্যতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এ মাস্টার প্ল্যানের কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির সভায় আজ বিশদ আলোচনা করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদে কার্যক্রম চলছে এবং সব নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
ঢাকা শহরে অল্প বৃষ্টির কারণেই সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করতে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু করা যাবে না। পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। একটা সহনশীল পর্যায়ে নেয়ার জন্য যা করা দরকার তা করা হবে।’
‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটিতে যেসব ড্রেন ময়লা জমে আটকে আছে সেগুলো পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে, যাতে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হয়,’ যোগ করেন তিনি।