গ্রহাণুপুঞ্জকে ‘উড়ন্ত স্বর্ণ খনি’ বলে অভিহিত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এসব গ্রহাণুপুঞ্জতে মূল্যবান নানা ধরনের ধাতব পদার্থ রয়েছে। তাই গ্রহাণুপুঞ্জতে ‘স্পেস স্টেশন’ বসিয়ে খনিজ সম্পদ আহরণের উদ্যোগ কিভাবে নেয়া যায়, বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় বিবেচনা করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে স্পেস স্টেশন থেকে আকাশে ভাসমান গ্রহাণুপুঞ্জতে খনন করে মূল্যবান ধাতব পদার্থ আহরণ করা সম্ভব। স্পেস স্টেশন থেকে কয়েক’শ ফুট দূরে সঠিক গ্রহাণুপুঞ্জ থেকে একটি নলের সাহায্যে ধাতব পদার্থগুলো নিয়ে আসা গাণিতিকভাবে সম্ভব মনে হলেও বাস্তবে তা সম্ভব করতে কয়েক দশক সময় লেগে যাবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মূল্যবান খনিজ ও ধাতব আহরণের জন্যে তারা করে ছাড়বেন।
এর আগে নাসা’র স্পেসক্রাফ্ট মঙ্গলগ্রহে অনেক কিছু আবিস্কার করে। তবে গ্রহাণুপুঞ্জতে এধরনের খনন কাজ চালাতে গেলে তাতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে এ ভগ্ন অংশ পৃথিবীর ওপর এসে পড়বে কি না সে আশঙ্কা নিয়ে কথা উঠেছে। বিজ্ঞানীরা এধরনের আশঙ্কা দূর করে বলেছেন, প্রয়োজনে বড় ধরনের পাথরের মধ্যেই স্পেস স্টেশন বসিয়ে এধরনের খনিজ আহরণ করা হবে যাতে তা ভেঙ্গে না পড়ে। বিষয়টি অনুমোদন পাওয়া মাত্রই স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করবে নাসা। এ পরিকল্পনার দুটি প্রধান সুবিধা সম্পর্কে ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার অধ্যাপক থমাস মেইন্ডল বলেন, কোনো ধরনের বিকিরণ ছাড়া এবং এ্যালুমিনিয়ামের বেড়া দিয়ে ঘেরাও ছাড়াই খনিজ বা ধাতব আহরণ করা যাবে।