বাবা-মা কোটিপতি বললেও ভুল হবে। এরা কোটি কোটিপতি, অর্থাৎ বিলিয়নিয়ার। তবে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া অর্থ হাতে পেয়ে থেমে যাননি এঁরা। বরং নিজেদের উচ্চশিক্ষিত করে তুলেছেন। নিজেদের চেষ্টাতেই সাফল্য পেয়েছেন। এরা ভারতীয় কোটিপতিদের সুন্দরী-শিক্ষিতা কন্যা। দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জনকে।
ঈশা অম্বানি: মুকেশ এবং নীতা অম্বানির মেয়ে। সম্প্রতি আনন্দ পিরামলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। স্কুল পাশ করার পর ঈশা উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান। ২৭ বছরের ঈশা সেখান থেকে সাইকোলজিতে স্নাতক হন।
গায়েত্রী রেড্ডি: সংবাদ মাধ্যম ডেকান ক্রনিক্যালের মালিক টি ভেঙ্কটম রেড্ডির মেয়ে। ২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর সময় বাবার পাশে থেকে হায়দরাবাদ ডেকান চার্জার্সের দায়িত্ব সামলেছিলেন গায়েত্রী। দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করতেন তিনিই। ৩২ বছরের গায়েত্রী কিন্তু উচ্চ শিক্ষিতও।
ভানিশা মিত্তল: লক্ষী মিত্তলের মেয়ে। ইউরোপ বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনে স্নাতক। সঙ্গে লন্ডন স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল থেকে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকা স্টাডিসের উপরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ভানিশার। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক পাশ করেন তিনি।
নন্দিনী পিরামল: ব্যবসায়ী অজয় পিরামলের কন্যা। এর অবশ্য আরও পরিচয় রয়েছে। নন্দিনী মুকেশ কন্যা ঈশা অম্বানীর ননদ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হার্টফোর্ড কলেজ থেকে স্নাতক। বর্তমানে ৩৮ বছরের নন্দিনী পিরামল এন্টারপ্রাইজের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের শীর্ষপদে রয়েছেন।
অনন্যা বিড়লা: কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং নীরজা বিড়লার মেয়ে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি এবং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতক। অনন্যা খুব ভাল মিউজিশিয়ানও। গানও করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স মাত্র ২৪ বছর।
তনয়া দুবাশ: গোদরেজ কোম্পানির মালিক আদি এবং পরমেশ্বর গোদরেজের কন্যা। ৫০ বছরের তনয়া গোদরেজ কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরও। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল এবং ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছেন।