গত বছরের ডিসেম্বরে জার্মানির পঞ্চম ডিভিশন ফুটবল লিগের পুরুষ দল বিভি ক্লোপেনবার্গের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন ৩০ বছর বয়সী ইমকে উবেনহোর্স্ট । জার্মান ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন ইমকে। সেখানে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসতে থাকে এই নারী ফুটবল কোচের কাছে। ইমকে উবেনহোর্স্ট অবশ্য সাবলীলভাবেই জবাব দিতে থাকেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দলের ১৫জন ফুটবলারই পুরুষ। ইমকে যখন ড্রেসিংরুমে যান, তখন কি ছেলেদের প্যান্ট পরা বাধ্যতামূলক? জবাবে ইমকের চটপট উত্তর, ‘আমি পেশাদার কোচ। পুরুষাঙ্গের মাপ দেখেই দলে ফুটবলার বাছাই করি!’
এর আগেও নারী কোচকে লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে। সুইডেনের এক পুরুষ ফুটবল ক্লাবের কোচ ছিলেন পিয়া সুন্ধাঘে। ২০১৪ সালে তাকে প্রশ্ন করা হয়, একজন নারীর পক্ষে কি পুরুষ দলকে কোচিং করানো সম্ভব? জবাবে পিয়া বলেছিলেন, ‘অ্যাঞ্জেলো মার্কেল তো গোটা দেশ চালাচ্ছেন। আমি কেন পারবো না!’
তবে ইমকে উবেনহোর্স্টের জবাব হইচই ফেলে দিয়েছে। এদিকে কোচকে এই ধরনের লিঙ্গবৈষম্যমূলক প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে দেখে বেজায় চটেছে বিভি ক্লোপেনবার্গ কর্তৃপক্ষ। বোর্ড সদস্য হার্বার্ট স্ক্রোডার এ নিয়ে বলেছেন, ‘লিঙ্গবৈষম্যের প্রশ্ন তোলা খুব সহজ। কিন্তু আমরা সব সময় কোনো ব্যক্তিকে তার কাজের মান দিয়েই বিচার করি।’
যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলের কোচ ছিলেন ইমকে উবেনহোর্স্ট। এই নারী কোচের অধীনেই দুবার অলিম্পিকে সোনা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র।