Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনশনে কলেজছাত্রী প্রেমিকা, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করলেন পুলিশ কনস্টেবল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৯ PM
আপডেট: ১৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবল সোলেমানের বাড়িতে পাঁচ দিন ধরে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। উপজেলার নয়াগাঙের পাড় গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলেকে বিয়ে করতে ওই ছাত্রী অনশন করছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, জাফলংয়ের নয়াগাঙেরপাড় গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে ও জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাবিনার সঙ্গে একই গ্রামের পুলিশ সদস্য সোলেমানের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু তাদের দুজনের এ সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে পাশের গ্রামের অন্য আরেক মেয়ের সঙ্গে সোলেমানের বিয়ে দেন তার বাবা-মা।

বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা সাবিনা জানান, প্রায় দুই বছর ধরে সোলেমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সেই সুবাদে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সোলেমান তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করেছেন।

সাবিনার ভাষ্যমতে, ‘এখন সে আমাকে তার বাড়িতে আসতে বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সোলেমান বাড়িতে ফিরে এসে আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেবে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই বাড়িতে অবস্থান করব। এর ব্যতিক্রম কোনো কিছু ঘটলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।’

এলাকাবাসী জানান, গত ৯ জানুয়ারি সোলেমানের গায়ে হলুদ হয়। ওই রাতেই তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে সাবিনা। সোলেমানের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পরই তার বাবা-মা সাবিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে বিয়ের দাবিতে তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। পরে ওই রাতেই সোলেমানের বাবা-মা ও তার আত্মীয়-স্বজন তাদের পছন্দের পাত্রীকে নিয়ে সোলেমানকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সোলেমান তার বাবা-মায়ের চাপের মুখে তাদের পছন্দের পাত্রীকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে এখনো প্রেমিকের প্রতারণার বিচার চেয়ে এবং বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অনশনে রয়েছে সাবিনা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোলেমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শাহআলম মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার পর ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনরত মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছে।’

গোয়াইনঘাট থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Bootstrap Image Preview