আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে আগের মন্ত্রণালয়েই রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল ইসলাম রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। এসময় তিনি এ তথ্য জানান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন আনিসুল হক।
টানা দ্বিতীয়বারের মত জয়ী হতে এবার তিনি ২ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়েছে তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জসিম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৯৪ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৯১৪ জন। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় ২ লাখ ২৩ হাজার ২৫৮ জন ও আখাউড়া উপজেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯ জন ভোটার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সিরাজুল হক একজন মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
আনিসুল হক ঢাকার সেন্ট যোসেফ স্কুল থেকে ও-লেভেল এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের অধীনে এ লেভেল সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অর্নাস এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিংস কলেজ থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।
আনিসুল হক ১৯৮৫ সালে ঢাকা জেলা কোর্ট এবং ১৯৮৭ সালে হাইকোর্টের সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশনে এবং ২০০১ সালে আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
আনিসুল হকের বাবা সিরাজুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী ছিলেন।
২০০২ সালে সিরাজুল হকের মৃত্যুর পর ছেলে আনিসুল হক এসব মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং এসব মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত তিনি মামলাগুলো পরিচালনা করেন।
৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। তাকে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী করা হয়।
এ দিকে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক পাননি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার ২৮ জন পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে ২৩ জনই ডাক পানটি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথের জন্য। বর্তমানের ১৭ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ডাক পাননি ৯ জন। তবে ৫ জন প্রতিমন্ত্রী ডাক পেয়েছেন।