বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন জামাইয়ের বাটখারার আঘাতে নসুমুদ্দিন সেখ (৭০) নামে এক শ্বশুর নিহত এবং শাশুড়ি চায়না বেগম ঝামুরি ও স্ত্রী ফুরকুনি খাতুন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে ঘাতক জামাইকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। নিহত নসুমুদ্দিন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নসুমুদ্দিন মারা যায়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের নসুমুদ্দিনের মেয়ে ফুরকুনি খাতুনের প্রায় ৭ বছর আগে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মুন্সির ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান আছে।
এদিকে প্রায় দেড় বছর পূর্বে সাইফুল ইসলাম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। তাকে বিভিন্ন কবিরাজ ও ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় এক মাস আগে অকারণে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আসে ফুরকুনি খাতুন। এ অবস্থায় শনিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাইফুল ইসলাম জোলাগাতি গ্রামে শশুর বাড়িতে আসে।
শনিবার রাতে জামাইয়ের সাথে এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে নসুমুদ্দিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাইফুল ইসলাম আকস্মিকভাবে ঘুমন্ত শশুরের মাথায় ৫ কেজি ওজনের বাটখারা দিয়ে আঘাত করে এবং পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও শাশুড়িকে আঘাত করতে থাকে। তাদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন জামাইয়ের হাত থেকে শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে এবং জামাই সাইফুল ইসলামকে আটক করে।
এর মধ্যে শ্বশুরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ৬টার দিকে নসুমুদ্দিন মারা যায়।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে চাঁন মিয়া বাদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় জামাই সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হবে।