চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন থমকে গেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। সদর হাসপাতালে শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধদের চাপ বেড়েছে।
গত ২ দিনে ভোরের সূর্য উঠছে ঠিক কিন্তু কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশাতে যেন দুপুর ১২ টার সময় সূর্যের দেখা মিলছে। কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে খুব কম বের হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের বিশ্বরোড ও ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ঠাঁয় বসে থাকতে দেখা গেছে।
দিনমজুর সালাম জানান, ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে কাজ পাচ্ছি না। কয়দিন থেকে একি অবস্থা।
রিকশা চালক মইদুল জানান, ঠাণ্ডার কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে ঘরের বাইরে। লোক না থাকলে রোজগারও নেই।
বিকেল থেকে মানুষ যে যার ঘরে ফিরে যাচ্ছে। কারণ সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কনকনে বাতাস ও ঠাণ্ডা পড়ছে। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তিনদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর উপর দিয়ে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পদ্মাপাড়ের এই জনপদ। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন আবহাওয়া অফিস না থাকায় রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ঢাকা আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানান, পূর্বাভাস ছিল ডিসেম্বরের শেষার্ধে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাঝারি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বর্তমানে তীব্র ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
এছাড়া মাসের শেষে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।