Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সালথায় দু'দলের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:০৬ PM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:১২ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'দলের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে মাহফুজ শেখের ছেলে আলামীন শেখ আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে মারাত্মক আহত আলামীনের চাচা মিরান শেখ বাদী হয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।  

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সালথা উপজেলার ফুকরা বাজারে হায়দার সিকদারের সমর্থক লাল মিয়ার সাথে কাউছার মাতুব্বারের সমর্থক রুহুল মোল্যা কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে রাতেই উভয় দলের সর্মথকেরা দেশিয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শর্টগানের ২৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই সূত্র ধরে বুধবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উভয় দলের সমর্থকেরা ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টানা ২ ঘন্টা চলা এ সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২০টি বসতবাড়ি ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৮টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালের সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এর মধ্যে আলামীন শেখের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ফুকরা গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মক আহত আলামীন শেখের চাচা মিরান শেখ বাদী হয়ে হায়দার সিকদারকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।  

Bootstrap Image Preview