নির্বাচন কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে দেখতে গেলেন মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি।
বুধবার দুপুরে ঘটনা তদন্তে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নির্যাতিত নারীকে দেখতে যান মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত টিমের প্রধান আল মাহমুদ ফায়জুল কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি।
এসময় নির্যাতিত নারী ও তার স্বামী সিরাজ মিয়ার সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। সেইসঙ্গে নির্যাতিত নারীর কথা শোনেন কমিটির সদস্যরা।
এ বিষয়ে তদন্ত টিমের প্রধান আল মাহমুদ ফায়জুল কবির বলেন, ঘটনাটি শোনার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে আলোকে আমরা ঘটনা তদন্ত করতে এসেছি। কয়েকজনের সাক্ষ্য নিয়েছি আমরা। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। সব ডকুমেন্ট, মামলার এজাহার, এফআইআর, মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে জমা দেব আমরা। তারপর কমিশন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আল মাহমুদ ফায়জুল কবির আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের মান-সম্মান ও আত্মরক্ষার অধিকার মানাবাধিকার কমিশনের আওতায়। কোনো মানুষরে অধিকার ক্ষুণ্ন বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার পাশে থাকে মানবাধিকার কমিশন।
এর আগে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে এসপি ইলিয়াছ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলীতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে চার সন্তানের এক মাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।