নড়াইলে পুলিশের তদন্ত বিভাগের (ডিবি) সদ্য প্রয়াত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মনিরুজ্জামান মিন্টুর (৪০) স্ত্রী রাবেয়া বেগম মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সেই শিশুকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
হাসপাতালে দেখতে যাওয়া শিশুর বাবা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মিন্টু নির্বাচনের সময় মাশরাফির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
সোমবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে হাসপাতালে গিয়ে মনিরুজ্জামানের কন্যা শিশুকে দেখতে যান মাশরাফি। এ সময় নবজাতককে কোলে তুলে আদর করেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার নির্বাচনী প্রচারণায় গাড়িবহরে থাকা এএসআই মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় মাশরাফি তার প্রচার স্থগিত করে হাসপাতালে ছুটে যান এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মনিরুজ্জামান মিন্টুর স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সিজারের তারিখ ছিল ২৯ ডিসেম্বর। সিজারের দিন মাশরাফি ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও স্ত্রী সুমনা হক সুমি হাসপাতালে ছুটে যান। সেই সঙ্গে মিন্টুর পরিবারকে ১ লাখ টাকা সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আরও ৮০ হাজার টাকার সহযোগিতা করে।
এরপর সোমবার রাতে হাসপাতালে ছুটে যান মাশরাফি। সেখানে প্রয়াত মনিরুজ্জামান মিন্টুর কন্যা শিশুর জন্য দোয়া করেন এবং মনিরুজ্জামানের স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেন। এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, আমি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যতটা আনন্দিত হয়েছি, তার চেয়ে বেশি ব্যথিত হয়েছি মনির ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে। দোয়া করি, আল্লাহ যেন মনির ভাইকে জান্নাত নসিব করেন। তার স্ত্রী ও শিশুর জন্য শুভকামনা।
প্রসঙ্গত, নড়াইল-২ আসনে ১৪০টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন মাশরাফি।