একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটের আগের দিন রাত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দিন (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন নির্বাচনী এলাকায় বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখিত যানবাহনের মধ্যে রয়েছে- বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো প্রভৃতি। দেশের ৩০০টি আসনে নির্বাচন হওয়ায় এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে এক ইঞ্চি সড়কও থাকার কথা নয়। কিন্তু বিষয়টি কতটা বাস্তবসম্মত, তা কমিশন কিংবা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা প্রয়োজন।
অনেক প্রবাসী বলেন, যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় আমরা চিন্তিত। বছর শেষে প্রবাসীদের পরিবারের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর জন্য দেশে ফেরার হিড়িক পড়ে।
এক প্রবাসী প্রশ্ন করে বলেন, প্রবাসীরা কি যানবাহন নিষেধাজ্ঞার অর্ন্তভুক্ত নাকি বাহিরে?
প্রবাসীরা বলেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় বাস্তবতার নিরিখে। কিন্তু ইসি মাথাব্যথার প্রতিষেধক হিসেবে মাথা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই শ্রেয় মনে করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসি মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে নিষেধাজ্ঞা যুক্তিযুক্ত নয়।
যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা শুনে শতশত প্রবাসীরা আজ উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে যাদের বিমান রাত সাড়ে এগারটায় কিংবা ভোররাতে ল্যান্ড করবে। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে প্রবাসীদের এ নিষেধাজ্ঞার বাহিরে রাখা প্রয়োজনে। তাদের জন্য স্পেশাল যানবাহনের ব্যবস্থা করে নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা উচিৎ।
নির্বাচন কমিশনের সহায়তা না পেলে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় প্রবাসীদের বিমানবন্দরে অমানুষিক কষ্ট সহ্য করে ২৪ ঘন্টা অবস্থান করতে হবে৷
তারা জানান, কেউ দুই মাস, কেউ দেড় মাস, কেউবা একমাস আগেই বিমান টিকেট কিনে বসে আছেন। তখন তাদের জানা ছিল না নির্বাচনকে ঘিরে ২৪ ঘন্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকবে। আর এখন কোম্পানি থেকে ছুটি বাতিল কিংবা বিমান টিকেটও ফেরত দেয়া যাবে না।
তাই সব প্রবাসীদের পক্ষে যানবাহন নিষেধাজ্ঞার উপর সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দাবী জানাই। আর প্রবাসীদের নির্ভয়ে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা চাই।