Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রহস্যে ঘেরা ব্রাজিলের এই দ্বীপ থেকে জীবিত ফেরে না কেউ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:০৩ PM
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:০৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


ইলহা দ্য কুয়েইমাডা গ্র্যান্ডে। নামটা যেমন অদ্ভুত, তেমনই রহস্যে মোড়া এই দ্বীপ। দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটি। সাও পাওলো থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে রহস্যময় এই দ্বীপ। সরকার ওই দ্বীপে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

গোটা ব্রাজিলের মানুষের মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত যে ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফিরে আসে না! দ্বীপটিকে নিয়ে কয়েকটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী। খিদে পাওয়ায় খাবারের খোঁজে দ্বীপে প্রবেশ করেছিলেন। পর দিন নাকি তাঁর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়।

এই ঘটনার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়ে এবং ‘ওই দ্বীপে গেলে জীবন্ত কেউ ফেরে না’ এই ধারণাটা আরও চেপে বসে তাঁদের মধ্যে।

লাইটহাউস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পরিবার ওই দ্বীপে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। ১৯০৯-’২০ পর্যন্ত ছিলেন তাঁরা। শোনা যায়, ঘরে ঢুকে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলে সাপের দল।

আর এই সাপ নিয়েও কাহিনী আছে। শোনা যায়, জলদস্যুরা লুঠ করা সোনা এই দ্বীপে লুকিয়ে রাখত। কেউ যাতে সেগুলো চুরি করতে না পারে সে জন্য কয়েকটি বিষাক্ত সাপ নিয়ে এসে দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিল তারাই। সেই সোনার লোভে বারেবারেই সেখানে গিয়েছে মানুষ। কিন্তু শোনা যায়, তারা কেউই ফেরেনি।

তারপর সেই সাপের বংশবৃদ্ধি হতে থাকে। কয়েকটি সাপ থেকে কয়েক হাজার সাপে ভরে যায় গোটা দ্বীপ। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ওই সাপ গোল্ডেন ল্যান্সহেড। বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ এটি।

একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, সাপের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে প্রতি এক বর্গমিটারে একটা করে সাপ পাওয়া গেছে। সাপদের স্বর্গরাজ্য এই দ্বীপটিকে তাই ‘স্নেক আইল্যান্ড’ বলা হয়।

গোল্ডেন ল্যান্সহেড যেহেতু বিরল প্রজাতির, তাই এই সাপকে বাঁচাতে ব্রাজিল সরকার পদক্ষেপ করেছে। বিশ্ববাজারে এই সাপের চাহিদা থাকায় চোরা কারবারিদের হাতে থেকে রক্ষা করতে এবং সাপের কামড়ে যাতে মৃত্যু না হয় সাধারণ মানুষের তাই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview