৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
সোমবার রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ এক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে অনুমতি দেয়ার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দেখভাল করছে।
তিনি বলেছেন, সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হল ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। আশা করি এর ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যে কোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, তখন তারা স্ব-উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে, ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবলমাত্র প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনে মনোযোগী থাকার জন্য অনুরোধ জানাই। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সব কিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে।
২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও ডিএমপি’র কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলব। এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার সংক্রান্ত বিষয়। ডিএমপি এসব ভালো বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কিনা, কোনো আশঙ্কা আছে কিনা আমি তা আলাপ করে দেখব।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।