Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে স্তন কাটার দিন শেষ: ডা. অাফরিন সুলতানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৬ PM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ব্রেস্ট ক্যান্সার শুনলে সবার একটা কথাই মাথায় অাসে। সেটা হলো স্তন কেটে ফেলা। অনেকের ধারণা, যেহেতু অামি স্তন কেটে ফেলছি, তখনই রোগটা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এই ধারনা পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার হলেই ব্রেস্ট পুরোপুরি কেটে ফেলার দিন শেষ। বাইরের বিশ্বে এখন যে ট্রিটমেন্ট চলছে তাতে পুরো স্তন না কেটে অাক্রান্ত অংশ কাটলেই রোগ নিরাময় করা যায়। অামরা অামাদের দেশেও সেই চিকিৎসা চালু করছি। এই দুই ক্ষেত্রে রোগীর রোগমুক্ত হওয়ার এবং দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার যে সম্ভাবনা তা সমান। সাধারণত রোগীদের অামরা যে ট্রিটমেন্ট অফার করি, তখন সবার মাথায় একটাই প্রশ্ন থাকে, অামার ব্রেস্ট যেহেতু থেকে যাচ্ছে ( কাটা হয়নি এমন অংশ) সেখানে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অাছে কি না।

একটা ব্রেস্ট পুরোপুরি কেটে ফেলছে ক্যান্সারের যতোটুকু সম্ভাবনা থাকে, না কাটলেও কিঞ্চিৎ এক বা দুই ভাগ বেশি সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য অামরা রোগীদের উৎসাহিত করছি, বিশেষ করে যারা প্রাথমিক পর্যায়ে অাসছেন তারা এই ট্রিটমেন্ট নেওয়ার জন্য। কারণ, ব্রেস্ট একটা রেসপেক্টিবল অর্গান। এটার শারীরীক দিক ছাড়াও মনস্তাত্বিক, সামাজিক ও পারিবারিক অনেকগুলো দিক অাছে।

অামাদের দেশে যারা ব্রেস্টের সার্জন হিসেবে কাজ করছে তারা এই ট্রিটমেন্ট অফার করছেন। অামাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে অামাদের অার্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত মিল অাছে অনেকখানি। যেহেতু তারা এটা এক্সেপ্ট করতে পারছে সেহেতু অামরাও পারব।

ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে খরচ একটা বড় ব্যাপার। যে কোন ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে অামাদেরকে একটা বড় সময় ধরে চিকিৎসা নিতে হয়। শুধু অপারেশন করলেই এটা শেষ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় কেমোথেরাপী, রেডিওথেরাপী, হরমোন থেরাপী নেওয়া লাগে। অামি বলব, বাইরে টিটমেন্ট নেওয়ার চাইতে অামাদের ট্রিটমেন্ট অনেক কম ব্যয়বহুল। একই ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে দিতে পারছি।

অারেকটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে অাক্রান্ত হন বা চিকিৎসা নেন, তারা মানসিকভাবে হতাশায় পড়েন। কর্মক্ষেত্রে তার পরিবার, সমাজ বা অাশেপাশে যারা অাছেন সবার একটা বড় ভূমিকা অাছে তার পাশে দাঁড়ানোর।

লেখক: (এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমঅারসিএস)। কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারী, সিটি হাসপাতাল লি:। ল্যাপ্রস্কোপিক, ব্রেস্ট, কলোরেক্টাল সার্জারীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

Bootstrap Image Preview