বিধাব ও প্রতিবন্ধীরা অবহেলার মানুষ হিসাবে সমাজে বাস করে। কিন্তু দিন পাল্টে গেছে। প্রতিবন্ধীরাও এখন নিজেদের সাবলম্বী করছে বিভিন্নভাবে। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের বিধাব ও প্রতিবন্ধীরা নিজেদের সমাজের বোঝা ও অবহেলার মনে করছেন না। সরকারের প্রতিবন্ধী সুবিধার আওতায় অনেকেই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
হরিপুর উপজেলায় ২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিধাব অত্যাচরিত ভাতাভোগী মহিলার সংখ্যা ছিল ১৭৩৮৯ জন। এবং ২০০৯-২০১৮ অস্বচ্ছল প্রতিবদ্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৮১৩ জন। প্রতিবদ্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১৫ জন। এরা প্রত্যেকেই প্রতিবন্ধীদের জন্যে প্রদেয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সরকারের বিধাব এবং প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করার পরে সাবলম্বি হতে শুরু করেছে সমাজের এই শ্রেণীর মানুষগুলো। ১৯৯৮-৯৯ সালে ১০০ টাকা বিধাব ভাতা এবং ৩০০ টাকা প্রতিবদ্ধী ভাতার মাধ্যমে দেশব্যাপি এই কর্মসূচি শুরু হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের এই কার্যক্রমের সুবিধা দেওয়া হয়।
সারাদেশে এই কার্যক্রমের আওয়াত ৪ লক্ষ ৩ হাজার ১১০ জন মহিলাকে ৪০ কোটি টাকা এবং প্রতিবদ্ধী ১ কোটি ০৪ লক্ষ মানুষের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবারের অর্থবছরে। ২০০৯ সালের পর এই বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। লক্ষ্য একটাই, প্রতিবন্ধী মানুষকে সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে একটু এগিয়ে নেওয়া। ২০১৮ সালে ১৪ লক্ষ বিধাবাকে ৫০০ হারে ৮৪০ কোটি এবং ১০ লক্ষ প্রতিবদ্ধীকে ৭০০ হারে ৮৪০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।