Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের ৫ টিপস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:০৭ PM
আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:০৭ PM

bdmorning Image Preview


অ্যাজমা শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশী সবাই পরিচিত। এর বাংলা অর্থ হাঁপানি। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ। যা মূলত শ্বাসনালীর অতি সংবেদনশীলতার কারণে হয়। এতে আমাদের শ্বাসনালীর স্বাভাবিক ব্যাস কমে গিয়ে আগের চেয়ে সরু হয়ে যায়। ফলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণ বায়ু যাওয়া-আসা করতে পারে না এবং দেহে অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হয়।

অ্যাজমা আক্রান্ত হলে যা হয়- ১. শ্বাসকষ্ট ২. কষ্টসহকারে শ্বাস নেয়া ৩. দমবন্ধভাব অনুভব করা ৪. বুকে ব্যথা ৫. শুকনো কাশি।

সাধারণত, অ্যাজমা প্রতিকারের কোনো উপায় নেই। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলছে শীত মৌসুম। এ সময়ে এটি একটি সাধারণ রোগ। ছোট বড় সবার মধ্যে এটি দেখা যায়। কষ্টেরও শেষ থাকে না।

শীত মৌসুমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায় আলোচনা করা হলো-

১. ধুলা- অ্যাজমার ভীষণ শত্রু এটি। তাই পারতপক্ষে চেষ্টা করতে হবে তা এড়িয়ে চলার। চেষ্টা করতে হবে সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্মল পরিবেশে চলাফেরা করার। যতোটুকু পারা যায়, থাকা-শোবার ঘরটি রাখতে হবে ধুলাবালি মুক্ত।

২. ফুলের ঘ্রাণ-  ফুলের ঘ্রাণ কে না পছন্দ করে। অনেকে এর সুমিষ্ট ঘ্রাণে পাগলপারা হয়ে যায়। সকাল-বিকেল এর নির্মল ঘ্রাণে মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তবুও শীত মৌসুমে এর ঘ্রাণ আপনার-আমার জন্য সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অ্যাজমাজনিত সমস্যা থাকলে। তাই ফুলের ঘ্রাণ ও বাড়ন্ত গাছের পাতার গন্ধ যতটুকু পারা যায় এড়িয়ে চলুন।

৩. ধূমপান- এটি এড়াতে পারলে শুধু অ্যাজমা নয়, শীত মৌসুমে আরো অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ধূমপান পরিহারে কাশিকে বাই বাই বলা যায়। শিশুর শারীরিক সুস্থ্যতার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ব্যায়াম- অনেকেই জানেন না নিয়মিত ব্যায়ামে অ্যাজমা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই এ মৌসুমে যতোটুকু সম্ভব ব্যায়ামের ওপর জোর দিতে হবে।

৫. অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা পরিবেশ- শীত মৌসুমে আমরা অনেক সময় ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে এসি বাড়িয়ে দিই। তবে অ্যাজমা রোগিদের জন্য এটি মোটেই সুখকর নয়। আবার অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে উষ্ণতার জন্য বেশি গরম কাপড়চোপড় পরি। এতে দেখা যায়, অল্পক্ষণে গরমে ঘেমে যায়। ফলে গায়ের জামাকাপড় খুলে ফেলি। এটিও অ্যাজমা রোগিদের জন্য ভালো নয়। এসবে হিতে-বিহিত ঘটে। তাই যতোদূর সম্ভব এ থেকে দূরে থাকুন। 

Bootstrap Image Preview