ধামরাইয়ে নতুন কুঁড়ি নামে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উত্ত্যক্তে অতিষ্ঠ হয়ে লেখাপড়া বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অভিভাবকরা। পরে ঘটনাটি জানতে পেরে ধামরাই পৌরসভার মেয়র তার কার্যালয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকের ডেকে নিয়ে নিরাপত্তাসহ লেখাপড়া করার সব খরচ দিয়ে লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন তিনি। আর অভিযুক্ত উত্ত্যক্তকারী শিক্ষককে দেয়া হয় ৪ মাসের জেল।
সোমবার (৫ নভেম্বর) ধামরাই পৌরসভায় মেয়রের কার্যালয়ে এই দায়িত্ব নেন মেয়র গোলাম কবির।
জানা যায়, ধামরাই পৌরসভার আইঙ্গন নতুন কুঁড়ি মড়েল স্কুলের ৯ ছাত্রীর সঙ্গে যৌন উত্তেজক, কু-প্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রীরা বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে তারা লেখাপড়া বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু ছাত্রীরা লেখাপড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে ধামরাই পৌরসভার মেয়র বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল ছাত্রী ও অভিভাবকদের তার অফিসে ডেকে এনে ছাত্রীদের ভর্তি থেকে শুরু করে সকল খরচ ও ছাত্রীরা নিরাপদে থাকবে এমন আশ্বাস দেন অভিভাবকদের। আর উত্ত্যক্তকারী শিক্ষক সাইদুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ মাসের সাজা দেয়া হয়।
এ সময় মেয়র ধামরাই আবদুস সোবহান মড়েল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকা সেলিনা আক্তারকে ডেকে নিয়ে তাদের ভর্তি থেকে শুরু করে সব কিছুর ব্যবস্থা করানোর নির্দেশ দেন। লেখাপড়া করতে পারবে এমন কথা শুনে আবেগে কেঁদে ফেলে ছাত্রীরা।
পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির জানান, ছাত্রীদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে পেরে আমি খুবই খুশি। ওই ৯ ছাত্রী শুধু এসএসসি নয় যে পর্যন্ত ওরা লেখাপড়া করতে পারে আমি করাবো।