নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বৃদ্ধ শাশুড়িকে পিটিয়ে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে প্রবাসী ছেলের বউরা। সোমবার (৫ নভেম্বর) উপজেলার দেবপুর গ্রামের দাইয়া মিয়ার ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ীর কর্মরত সাংবাদিকরা ঐ গ্রামে গেলে বৃদ্ধ শাশুড়ি রশিদা আক্তার (৭৫)জানান, উপজেলার দেবপুর গ্রামের বিধবা রশিদা আক্তার তার স্বামী নাদেরুজ্জামানের মৃত্যুর পর ২ ছেলে ৩ মেয়ে নিয়ে জীবন যাপন শুরু করেন। ১ যুগ আগে তার স্বামীর মৃত্যুর পর অতি কষ্টে ঐ ২ ছেলেকে প্রবাসে পাঠান।
তার স্বামীর রেখে যাওয়া ৬ শতাংশ সম্পত্তি ছোট ছেলে দুবাই প্রবাসী বেলাল হোসেন প্রলোভন দেখিয়ে তার থেকে হেবা ঘোষণা করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার জীবনযাপনে নেমে আসে অশান্তি। বড় ছেলে কুয়েত প্রবাসী সামছুদ্দিনের স্ত্রী রুনা আক্তার ও ছোট ছেলে বেলাল হোসেনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বিভিন্নভাবে বৃদ্ধ শাশুড়িকে নির্যাতন শুরু করে।
এই নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মেম্বার সোলাইমান হোসেন সেন্টু ও নদনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করেন। ইউএনও টিনা পাল এই অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ইতিপূর্বে গিয়েছেন।
এরপরও তার জন্মদাতা ২ সন্তান ও ছেলের বউরা তাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বিগত ২০শে অক্টোবর সকালে তার ২ ছেলের বউ রুনা আক্তার ও হাসিনা আক্তার পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৃদ্ধ শাশুড়িকে মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে সে একই গ্রামের ইউছুফের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
বৃদ্ধ শাশুড়ি আরও জানান, তিনি ছেলের বউদের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কয়েকবার তারা মারধর করেছে। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া দেয় না। তার পরিধেয় কাপড় চোপড়সহ বিগত ১৫ দিন পূর্বে মারধর করে বের করে দিয়েছে।
নদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঐ বৃদ্ধের ছেলে ও ছেলের বউরা অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির। এই নিয়ে কয়েকবার সালিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল বলেন, ইতিপূর্বে এ অভিযোগ পেয়ে বৃদ্ধ মহিলাকে ঘরে তুলে দিয়েছি। এখন আবার ঘটলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।