Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৭ PM
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দ্বিতীয়বার যাতে চিকিৎসকের কাছে যেতে না হয় সেজন্য বাড়তি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নিই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাড়তি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেয়।

আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস (এএপি)-এর জাতীয় কনফারেন্স ও প্রদর্শনীতে গবেষণার এই ফল উপস্থাপন করা হবে।

বিশিষ্ট লেখক রুথ মিলানিক বলেন, গবেষণায় বর্ণিত স্যাম্পল রিপোর্টে দেখা গেছে বাবা-মায়ের ভেতর অ্যান্টিবায়োটিক ভাগাভাগি কিংবা ধার নেওয়ার বিষয়টি 'উদ্বেগজনক'। এ ধরনের চর্চাকে বলা হয় প্রেসক্রিপশন ডাইভারসন।

নিউ ইয়র্কের কোহেন চিলড্রেনস মেডিক্যাল সেন্টারের ডা. মিলানিয়াক বলেন, 'এটি যাদেরকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া হয় কেবল তাদের জন্যই বিপজ্জনক নয়, সেসব মানুষের জন্যও ক্ষতিকর যাদের শরীরে প্রতিরোধী ব্যবটেরিয়ার ওপর অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না।

গবেষণার জন্য, ৪৯৬ জন বাবা-মায়ের মধ্যে বেনামী অনলাইন প্রশ্নাবলী বিতরণ করা হয়। প্রায় অর্ধেক (৪৮.২ শতাংশ) বাবা-মা জানান, তাঁরা অবশিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক অন্য কাউকে না দিয়ে সেগুলো রেখে দেন।

৭৩ শতাংশ বাবা-মা পরবর্তীতে তাঁদের ভাইবোন, অনাত্মীয় শিশু ‌ও প্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে দেন। কখনো কখনো প্রেসক্রিপশনে উল্লেখের কয়েক মাস পর তাদেরকে দেওয়া হয়- এসব কিছুই ঘটে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া। আবার বাবা-মা নিজেরাও ব্যবহার করেন অবশিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক।

ডা. মিলানায়েক বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করে, সব অসুস্থতায় যে এটি প্রয়োজন নেই এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ ঝুঁকিপূর্ণ- শিক্ষিত পরিবারে তা নিয়ে গবেষণায় আরো বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

মিলানায়েক আরো বলেন, 'যদিও অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারে ওষুধে বিপ্লব ঘটেছে, চিকিৎসকরা সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন।'

Bootstrap Image Preview