Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'রাজনীতি কেবলই ক্ষমতার দাস, জনমানুষের দাস হতে পারেনি'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২৫ PM
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৫:২৫ PM

bdmorning Image Preview


দেশের সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টি ও মনযোগ এখন গণভবনের দিকে। আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিকল্পধারা, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট প্রধানমন্ত্রীর সাথের সংলাপের বসার আমন্ত্রণ পেয়েছে। সংলাপ করছে।

এই সংলাপের দরজা খোলার জন্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। প্রধানমন্ত্রীও সেই চিঠির জবাব দিয়ে ১ নভেম্বর তাদের সাথে বৈঠকে বসেন। আজ ডা. বি চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি জোট অংশ নেবে সংলাপে। সাথে সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীও তাদেরকে সময় দিচ্ছেন।

এই সংলাপ নিয়ে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক-মজুর, ব্যবসায়ী, কূটনীতিবিদ সবাই আশা প্রকাশ করছেন ভালো কোন ফলাফলের। বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার নারীনেত্রীরা বিডিমর্নিং এর সাথে সংলাপ নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন।

মানবাধিকারকর্মী ও নারীনেত্রী খুশী কবির বলেছেন, বর্তমানে রাজনীতি বলতেই আমরা বুঝি ক্ষমতার এক চিরাচরিত লিপসাকে। কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহারে সাধারণ জনগণকে বন্দি করে রাখা। এই রাজনীতি কেবলই ক্ষমতার দাস। জনমানুষের দাস হতে পূর্বেও পারেনি আজও সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতের আশা আমরা রাখতেই পারি। এই যে ধরুন শেষ 'নিরাপদ সড়ক চাই' শীর্ষক ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে যে নোংরা রাজনীতি করা হয়েছে তা দৃষ্টান্ত হয়ে না থাকলেও দাগ কেটে আছে ছোট বড় আমাদের সবার মনে। যে দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র বলে কোনো শব্দের ব্যবহার নেই সেই রাজনীতি নিয়ে বস্তুতপক্ষে কোনো আলোচনায় আসে না বলে আমি মনে করি।

আইনজীবী নীনা গোস্বামি বলেন, বিগত বছরগুলোর দিকে তাকিয়ে যখন আমি রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করতে চাই তখন বিষয়টি এমন দাঁড়ায় যে রাজনীতি বিষয়টি তার নিজস্ব গুণ হারিয়েছে, নিজস্বতা হারিয়ে স্বৈরাচারিতায় রুপ নিয়েছে। সেই বিবেচনায় আইন ব্যবস্থাও সেই অন্ধত্ব লাভ করেছে। ক্ষমতার সাথে আপোষ করতে করতে বর্বর হয়ে উঠেছে বিচারব্যবস্থা।

এনজিওকর্মী ও নারীনেত্রী মাহমুদা খান বলেন, রাজনীতি নিয়ে তেমন তড়িঘড়ি নয় আমি। তবে কোনো মানুষই রাজনীতির উর্ধ্বে না, সেই প্রেক্ষিতে যদি কিছু বলতে চাই তাহলে আসলে গতকালের সংলাপ নিয়েই বলবো আরকি। আমার কাছে গতকালের সংলাপের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। বরঞ্চ ঐক্যের মধ্যেও যে একটি বিশাল ফাঁটল সেটা আমরা সবাই মোটামোটি টের পেয়েছি। নতুবা ড. কামাল একদিকে বলছেন ফলপ্রসূ আর ফখরুল সাহেব বলছেন সন্তুষ্ট না। এমন দ্বিমত মতামত দ্বারায় আমরা বুঝতে পারছি ঘটনাটি আসলে কি। কিন্তু এর বাইরে এসে যদি আমরা গণমানুষ নিয়ে কিছু বলতে চাই তাহলে এই সংলাপের ভূমিকা গণভবনের বাইরে পর্যন্ত কোনোভাবেই আসেনি বলে আমি মনে করি। তবে আমার যে চাওয়া আমি মনে করি এই মূহুর্তে এটা সবার চাওয়া যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।

পেশায় একজন ডাক্তার ও একইসাথে মানবাধিকারকর্মী জাকিয়া আক্তার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হোক কিংবা না হোক সেই প্রতিফলন কখনোই দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ফলপ্রসূ না। আজ যে ক্ষমতায় আছে কাল যদি অন্যকেউ আসে তাতেও একই অবস্থা থাকবে। যেটা পরিবর্তন করা জরুরি সেটা এই গোটা স্ট্রাকচারটাতেই আনতে হবে। নতুবা ক্ষমতায় কে আসলো তার উপর ভিত্তি করে আদৌতে কোনো উন্নয়ণ হবে না। মানুষ একইভাবে নিপীড়িত হবে হয়তো সেই রাস্তাটার খানিক পরিবর্তন হবে কিন্তু ভোগান্তি থাকবেই।

Bootstrap Image Preview