কট্টর ডানপন্থী নেতা জেইর বোলসোনারো হলেন ব্রাজিলের নয়া প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে বোলসোনারো কাস্টিং ভোটের মধ্যে ৫২ দশমিক ২ ভাগ ভোট পেয়েছেন। আর তাঁর প্রতিদ্বদ্বি বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফার্নান্দো হাদ্দাদ পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট।
বেসরকারি হিসেবে দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল লিবারেল পার্টির নেতা বোলসোনারো তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনে ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
গত রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে ৮৮ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। ভোট গণনায় শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেইর বোলসোনারোর দল সোশ্যাল লিবারেল পার্টি।ব্রাজিলের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো তার বিজয়ী ভাষণে বলেন,তার সরকার হবে দেশটির গণতন্ত্র ও সংবিধানের ধারক।
তিনি বলেন, ‘এটা কোনও দলীয় কিংবা ব্যক্তি হিসেবে আমার প্রতিশ্রুতি নয়। এটা ঈশ্বরের কাছে আমার শপথ।’গত ৬ সেপ্টেম্বর এক নির্বাচনী প্রচারণায় ছুরিকাঘাতের শিকার হন বোলসোনারো। বলা হচ্ছে, এর পরই তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় প্রায় ২৮ শতাংশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোলসোনারোর জয়ের মধ্য দিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক এই দেশটিতে ডানপন্থী দলের আবির্ভাব হলো।এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর দেশটিতে ক্ষমতায় ছিল বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টি। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফকে অভিশংসনের পর গত দুই বছর ক্ষমতায় ছিলেন কনসারভেটিভ পার্টির মাইকেল টিমার। তবে ব্রাজিলিয়ানদের মাঝে তার বিন্দুমাত্রও জনপ্রিয়তা ছিল না।
এদিকে নির্বাচনের আগে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছিলেন জেইর বোলসোনারো। অনলাইনে হ্যাশট্যাগ (#NotHim) দিয়ে তাকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির তারকাসহ প্রায় অর্ধকোটি নারীরা।২০১৭ সালের এপ্রিলে এক অনুষ্ঠানে কন্যাসন্তান নিয়ে মন্তব্য করার পর সমালোচনায় পড়েন তিনি।
বোলসোনারো বলেছিলেন, ‘আমার পাঁচ সন্তান। প্রথম চারটি ছেলে। পঞ্চমটি মেয়ে। আমি দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম, এর ফলস্বরূপ মেয়ে জন্মেছে।’