Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্দীদের টাকা দিয়েই কোটিপতি সেই জেলার!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:০৯ PM
আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বন্দীদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে অবৈধ লেনদেন আর দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। পাশপাশি বন্দী নির্যাতনের সীমাও ছাড়িয়ে গেছে। বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী মূল্য দিয়ে কারাবন্দীকে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্য কিনতে বাধ্য করাসহ নানা অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে এ কারাগারে। আবার অখাদ্যকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করাচ্ছে বন্দীদেরকে। এমনই অনেক অভিযোগ উঠেছে।

অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধার নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। কারাগারে অবৈধভাবে অর্থ প্রদান থেকে বাদ পড়ছেন না রাজনীতিবিদ, দরিদ্র, পঙ্গু, শিশু বৃদ্ধদের কেউই। কারাগারে প্রবেশ থেকে শুরু করে জামিনে বা মামলায় খালাস পেয়ে কারা ফটক দিয়ে বের হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে অর্থ আদায় করা যেন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।

গত শুক্রবার বিকালে ভৈরব রেল স্টেশনে ৩ কোটি টাকার এফডিআর-এর কাগজপত্র, দেড় কোটি টাকার ৩টি চেক ও নগদ সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ চট্টগ্রাম কেন্দ্র্রিয় কারাগারের জেলার মোঃ সোহেল রানা বিশ্বাস পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে কারাগারের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও আলোচিত হচ্ছে।

জামিনে মুক্তি পাওয়া বন্দিরা জানান, কারাগারে বন্দী থাকাবস্থায় কয়েদিরা (দীর্ঘ মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীরা) বন্দিদের কাছ থেকে এককালিন ও মাসিক হারে চাঁদা করতেন। নির্দিষ্ট সময়ের (সাজা কয়েদিদের বেধে দেয়া সময়ে) মধ্যে চাঁদা দিতে দেরি হলেই শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন তারা।

শুধু তাই নয় কারাগারে প্রথম প্রবেশের দিন থেকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভের আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বন্দীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্রসফায়ারের হুমকি প্রদান করা হয়।

গত বছর এ ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদনও করেন জামিনে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন আসামি।

রাজনৈতিক মামলায় সাড়ে ৫ মাস কারাভেগে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পতেঙ্গার পারভেজ আলম বলেন, আদালতের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে কারাগারে নেয়া হলেই প্রথমে কারাগারের আমদানী নামক স্থানে রাখে। এখানে প্রতিজন বন্দীকে পারিবারিক অবস্থা বুঝে কয়েদিরা কিনে নেন। ধনি ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকে টাকার অংক বুঝে রাখা হয় কারা হাসপাতাল অথবা পদ্মা নামক কথিত হাসপাতালে।

কথিত পদ্মা নামক হাসপাতালে থাকতে হলে গুণতে হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর সরকারি হাসপাতালে থাকতে হলে এক একজন বন্দীকে গুণতে হয় ১২ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

Bootstrap Image Preview