চট্রগ্রামে ইউসুফ ওরফে কালা মাইন্যা নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১১টি একনলা বন্ধুক, ৬টি দোনলা বন্দুক ও তিনটি পাইপগান ছাড়াও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ ২০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় ইউসুফ।
বৃহষ্পতিবার (২৫ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এ অভিযান চালায়। ঘটনার দিন দুপুর দুইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালানো হয় তারা বাড়িতে।
এ সময় অস্ত্র তৈরীর কারিগর সাইফুল ইসলাম ও সন্ত্রাসী কালা মইন্যার স্ত্রী হিরামণি আক্তার প্রিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। তবে সন্ত্রাসী কালা মাইন্য পুলিশের আগমন টের পেয়ে পালিয়ে যায় আগেই।
পুলিশের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সন্দীপ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাজাহান পিপিএম গোপন সংবাদ পান যে কালা মাইন্যার বাড়িতে অস্ত্র তৈরীর কারখানা ও বিপুল অস্ত্র-গুলির মজুদ আছে। বিষয়টি চট্রগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা সাহেবকে জানালে তিনি সীতাকুণ্ডু সার্কেল শম্পা রানী সাহাকে দ্রুত অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন।
সাগর তীরে বসবাস করা লোকজন তাকে সমীহ করে চলে। চাদাবাজি ও খুন তার নিত্যদিনের পেশা। সাগরের জলদস্যু কিংবা সাগর তীরের সন্ত্রাসী সবাই তার পদধুলি নেয় গৌরবে। তার নাম ইউসুফ কিন্তু এলাকায় 'কালা মাইন্যা' হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। চট্রগ্রাম জেলা পুলিশের শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হলেও একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। চট্রগ্রামের সন্দীপ থানার রহমতপুর ইউপি’র হাদী বাড়ী এলাকায় বসবাস করে ইউসুফ।
চট্রগ্রাম জেলা পুলিশের শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হলেও একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাকে আটক করা যায়নি। তবে তার বাড়িতেই গড়ে উঠেছে বিশাল অস্ত্র তৈরীর কারখানা এমন তথ্য ছিলো অজানা।
এ ঘটনায় এলাকার দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দন জানিয়েছে সন্দীপ থানাসহ চট্রগ্রাম জেলা পুলিশকে।
অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দু'টি মামলা দায়ের হয়েছে সেদিনই। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে সন্দ্বীপ থানায় দু'টি খুন, তিনটি অস্ত্র, একটি মাদকদ্রব্য, একটি পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে মোট ৮টি মামলা রয়েছে। ইউসুফ ওরফে কালা মাইন্যাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রেখেছে পুলিশ।