Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পূর্ব শত্রুতার জেরে অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা

আসাদ গাজী, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৯ PM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview


নড়িয়ার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাহিদ (১৫) নামে অস্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজনগরে ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত নাহিদ রাজনগর ইউনিয়নের মালত কান্দি গ্রামের ভ্যান চালক আলী হোসেন মীর মালতের ছেলে এবং স্থানীয় মহিষখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শে্িরণর ছাত্র।  

নিহত নাহিদের চাচাতো ভাই রবিউল আউয়াল মীর মালত ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন গাজী ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আলীউজ্জামান মীর মালতের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে একাধিকবার হামলা, মামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান মীর মালতের সমর্থক স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন মাইকেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তে আছে। ওই মামলার সাক্ষী হলো আলী হোসেন মীর মালত। তিনি গত কয়েক দিন আগে সিআইডির কাছে সাক্ষী দেয়। এতে প্রতি পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এরই জের ধরে বুধবার সন্ধা ৭ টায় নাহিদকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন মহিষ খোলা স্কুল মাঠে ভ্যানের উপর বসা ছিল নাহিদ। হটাৎ করে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাহিদকে পিটিয়ে গুরত্বর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

রাজনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন আলীউজ্জমান মীর মালত বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মাইকেল খুনের ঘটনায় আলী হোসেন মীর মালত সিআইডিতে সাক্ষী দেওয়ায় প্রতিপক্ষে লোকজন তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রাজনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গাজী বলেন, ‘আমার কোনো লোকজন ওই বাজারে যায় না। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। পূর্ব শত্রুতার কারণে আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। মাইকেল খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাহিদকে মারপিট করেনি। সন্ধ্যার পরে প্রতিদিন যুবকরা মহিষখোলা মাঠে আড্ডা দেয়। তাদের মধ্যে কোনো বিরোধকে কেদ্র করে মারামারি হতে পারে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমার জানা নেই এবং ঘটনাস্থল রাজনগর ইউনিয়নে নয় এটি মোক্তারের চর ইউনিয়নের মধ্যে।’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে নাহিদসহ ২-৩ জন যুবক মহিষ খোলা বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ করে কয়েকজন লোক এসে নাহিদের উপর হামলা করে মারাত্বক আহত করে। পরে সে হাসপাতালে মারা যায়।’

Bootstrap Image Preview