Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘ইলিশবাজি’ করতে গিয়ে গণধোলাই খেল ৩ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৭ PM
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনসে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি এলাকার পদ্মা নদীতে ‘ইলিশবাজি’ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন এই তিন পুলিশ সদস্য। এরা হলেন- রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল আল মামুন, আলাল হোসেন ও শামীম হোসেন। তাদের বাড়ি বগুড়া জেলায়।

রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহতাব আলী বুধবার দুপুরে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করার কথা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিএম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, কোনো পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও অনৈতিক আচরণের দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলেরা মাছ ধরার পর প্রায় ৩০ কেজি ইলিশ জেলে আলী হোসেন, বাবু ও সফিকুলসহ কয়েকজনের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে নেন ওই তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ-ছয়জন। এরপর তাদের সন্দেহ হলে তিনজনকে আটকের পর এলাকাবাসী গণধোলাই দেয়।

এরপর কয়েকজনের সহায়তায় একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয় তিনজনকে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সহায়তায় জনতার হাতে আটক তিন পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান।

একটি নৌকাতে করে তারা নদীতে গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে বড় সাইজের ইলিশগুলো নিলেও কোনো দাম পরিশোধ করেননি বলে জানান জেলেরা।

এলাকাবাসী আরও জানান, তারা ৫-৬ জন ছিল। বাকি দুজন এদেরকে আটকের পর পালিয়ে যায়। গত সোমবারও এই তিনজনসহ আরও কয়েকজন জেলেদের কাছ থেকে জোর করে ইলিশ মাছ নিয়ে যায়।

অন্যদিকে সদর উপজেলার বাখোরালি ক্যাম্পের বিজিবির গোয়েন্দা শাখার (এফএস) এক সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই জেলেদের কাছ থেকে জোর করে ইলিশ মাছ নেয়ারও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী ও জেলেরা।

Bootstrap Image Preview