অলিভ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। প্রতিদিনের জীবনে আমরা বিভিন্ন উপায়ে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে থাকি। রূপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও রান্নায়ও এর ব্যবহার অতুলনীয়। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার সম্পর্কে:
শরীরে ও মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন-
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর তুলাতে সামান্য অলিভ অয়েল লাগিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন তারপর একটি শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। গোসল করার পর সামান্য পানির সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন তারপর সারা শরীরে ম্যাসেজ করুন। দারুণ ময়েসচারাইজারের কাজ করবে।
চুলের সৌন্দর্যে-
আপনি চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। একটি ডিম নিয়ে তাতে ২ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালমত ফেটিয়ে নিন তারপর পেস্টটি আপনার চুলে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল উজ্জ্বল হবে।
ঠোঁটের যত্নে-
ঠোঁটের যত্নে লিপবাম, ভেসলিন তো আমরা অনেকেই ঠোঁটে ব্যবহার করি। কিন্তু এর বদলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারি। রাতে ঘুমানোর আগে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করে তারপর ঠোঁটে অলিভ ওয়েল লাগান। তাছাড়া ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগেও সামান্য অলিভ অয়েল দিয়ে নিতে পারেন, ঠোঁট নরম থাকবে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে-
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের কপালে, চোখের পাশে ও নিচে চামড়ায় হালকা ভাঁজ দেখা দেয়। এই বলিরেখা সরাতে ২ চামচ অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য এলোভেরা অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
ওজন কমাতে-
শরীরের ওজন কমাতে আপনি অলিভ অয়েল খেতেও পারেন। সকালে নাস্তার আগে ২ চামচ অলিভ ওয়েল খেয়ে নিন, এতে আপনার হজম শক্তি বাড়বে। এবং নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ওজন কমতে সহায়তা করবে।