ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। যখন কেউ আত্মহত্যা করেন, তখন জনগণ এ প্রক্রিয়াকে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। তবে বর্তমানে মানসিক যন্ত্রণা ছাড়াও আত্মহত্যার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শারীরিক যন্ত্রণাও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১০টি আত্মহত্যার কারণ ক্রনিক শারীরিক যন্ত্রণা। অর্থাৎ যাঁদের দীর্ঘদিন ব্যথার ইতিহাস রয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশানের গবেষক এমিকো পেটরস্কির মতে, 'আসলে যা দেখা গিয়েছে, তা হল ব্যথার জেরে মানুষ অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। আর তার প্রভাবেই তাদের উদ্বেগ তৈরি হয়'।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মার্কিন দেশে প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ ব্যথায় ভুগছেন। যাঁরা এ ধরনের রোগীর সঙ্গে কাজ করেন বা তাঁদের চিকিত্সা করেন তাঁদের রোগীদের প্রতি অনেক সচেতন হওয়া উচিত। কারণ ধীরে ধীরে এটি মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহননের পথে চালিত করতে পারে।
সে দেশের ১৮টি প্রদেশের আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ১৮১টি ঘটনার মধ্যে ১২৩টি ক্রনিক ব্যথার জেরে হয়েছিল। এগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাক পেইন, ক্যানসারের যন্ত্রণা এবং আর্থারাইটিস।
এদের মধ্যে আবার আগুনে পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
তাই যে কোনও ব্যথার রোগীর ব্যথা উপশমের চিকিত্সার পাশাপাশি মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার কাউন্সেলিংও করানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।