বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় কাস্টমস কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পৃথক আরেক দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে নগরের আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকায় ও শুক্রবার রাতে পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী নদীতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আকবর শাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকায় মো. আজাদ (২৭) নামে এক যুবক নিজ বাসায় বৈদ্যুতিক বাল্ব লাগানোর কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান।
এ দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদী থেকে রিপেন সিংহ (৩১) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে পতেঙ্গার চরপাড়া বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন আসকার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের অফিসার্স লেইনের ক্ষুধিরাম সিংহের ছেলে ও চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার বলে জানা গেছে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, রিপেন সিংহের বাবা ক্ষুধিরাম সিংহ গতকাল থানায় এসে ছেলের মরদেহ সনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন বলেন, রিপেন আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে মরদেহের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
রিপেনের পরিবার জানায়, এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরার কথা বলে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আসকার দিঘীর পশ্চিম পাশের অফিসার্স লেইনের বাসা থেকে বের হয় রিপেন। সকালের নাস্তা তিনি বাইরে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন পরিবারকে। ওইদিন বিকেলে রিপেন বাসায় না ফেরায় তার বাবা ক্ষুদিরাম সিংহ কোতোয়ালী থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
ক্ষুদিরাম সিংহ বলেন, ছেলের মোবাইলে ব্যবহৃত দুইটি সিম কার্ডের সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেলে বিকেলে কোতোয়ালী থানায় গিয়ে জিডি করি। রাতে পতেঙ্গা থানায় মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে সেখানে গিয়ে রিপেনের মরদেহ শনাক্ত করি। রিপেনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ক্ষুদিরাম সিংহ।