Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বগুড়া-১ আসেন আ’লীগের প্রার্থী চুড়ান্ত, বিএনপিতে দ্বন্দ, সুযোগ নিবে জাপা!

তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:০২ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-১ আসন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এ আসনে একক প্রার্থী হিসাবে টানা দুইবারের সাংসদ আব্দুল মান্নান এমপিকে চুড়ান্ত করেছে। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে এ আসন থেকে হ্যাটট্টিক করতে চান।

অপরদিকে এ আসনটি পুনরুদ্ধারে কৌশলে প্রচারণায় নেমেছে বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী। প্রত্যেকেই তারা এমপি প্রার্থী হিসাবে জনগণের কাছে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, লিফলেট, পোষ্টার, ফেস্টুনসহ উঠান বৈঠক, কর্মীসভা, গনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ কাজী রফিকুল ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শোকরানা মন্ডল, সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির এবং সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মাছুদুর রহমান হিরু মন্ডলের নামও উঠে এসেছে।

আ.লীগের একক প্রার্থী ও বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর দ্বন্দতায় সুযোগে আছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তাফা বাবু মন্ডল। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় ও সবুজ সঙ্কেতে মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন তিনি। একই দল থেকে এমপি প্রার্থী হিসাবে নিজেকে দাবি করছেন কমিটির সদস্য ও সারিয়াকান্দি উপেজলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম।

সরেজমিন ঘুরে ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা যোগ্য প্রার্থী চান। সেটি যে দলেরই হোক। দল প্রার্থী মনোনয়নে ভুল করলেও ভোটাররা প্রতীক বিবেচনা করবে না। ইতোমধ্যে এই আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

বর্তমান সাংসদ আব্দুল মান্নান তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আ’লীগ সরকারের নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় এ আসনে সাড়ে নয় বছরে ১৭২৭,৮৮,৫১, ১১৬ কোটি (সতেরশত সাতাশ কোটি, আটাশি লক্ষ, একান্ন হাজার, একশত ষোল) টাকার কাজ করেছেন আব্দুল মান্নান এমপি। যে কারণে এই আসনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করছেন দলীয় নেতাকর্মী।

এক স্বাক্ষাৎকারে আব্দুল মান্নান এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় নয় বছরে যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণের কাজসহ যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে তা কালের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। এর বিনিময়ে আমি পূণরায় এমপি নির্বাচিত হবো।

এদিকে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা আসনটি পুনরুদ্ধারে কৌশলে মাঠ গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এখানে যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে ধানের শীষের টিকিট তুলে দিতে ভুল করলে পূণরায় আসন হারাতে পারেন বলে ভীতির মধ্যে আছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এমপি প্রার্থী ও সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন, আমি বিএনপি’র জন্য নিজের জীবন বির্সজন দিয়ে মাঠে আছি এবং দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা রাখছি আমিই ধানের শীষের টিকিট পাব। এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মাছুদুর রহমান হিরু মন্ডল দাবি করেন নির্বাচনী এলাকায় আমার গ্রহণ যোগ্যতা অনেক বেশি। যদি কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে নির্বাচনের টিকিট দেয় তাহলে আসনটি পূনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

অপরদিকে জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা শোক রানা মন্ডলের নাম কোনো এক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় তিনি এবং তার অনুসারি মাঠে সক্রিয় আছেন। এদিকে সাবেক এমপি কাজি রফিক নির্বাচনী গণ সংযোগ করছেন এবং দাবি করছেন নির্বাচনের টিকিট তিনিই পাবেন।

অপরদিকে বিএনপি’র দ্বন্দ ও আ.লীগের আওয়ামী লীগের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করবে জাপার প্রার্থী। এ আসন থেকে আ.লীগের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হলেও লোকমুখে সারিয়াকান্দি পৌর মেয়র আলমগীর শাহী সুমন ও বগুড়া ডক্টরস্ ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ডাঃ মকবুলার রহমানের নাম শুনাযাচ্ছে।

Bootstrap Image Preview