‘যাত্রী ও ক্রুসহ বিমানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’

আজ বুধবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয়। এর ফলে বিমানটির কক্সবাজারে অবতরণের কথা থাকলেও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। একটুর জন্য হতে পারত অনেক বড় দুর্ঘটনা। শুধুমাত্র পাইলটের অসাধারণ দক্ষতার করণে বেঁচে গেলো ১৭১টি প্রান। যাত্রী ও ক্রুসহ বিমানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

আজ ইউএস বাংলার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার এয়ারপোর্টে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন বিমানের পাইলট। পরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি সফল্ভাবে অবতরণ করেন।

পরবর্তীতে ফ্লাইট এর সকল যাত্রী, কেবিন ক্রু ও পাইলট সকলে নিরাপদে এয়ারক্রাফট থেকে বের হয়ে আসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, যাত্রী ও ক্রুসহ বিমানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলার ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটির সামনের নোজ হুইল কাজ না করায় পেছনের চাকাগুলোর ওপর ভর করে বিমানটি শাহ আমানতে অবতরণ করে। অবতরণের সময় বিমানটির সামনের অংশে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে সব যাত্রী অক্ষত অবস্থায় বিমান থেকে নেমে আসতে সক্ষম হন।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আরও জানান, ‘ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।’