Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১০ PM
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এজন্য ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের এ অর্থ দিয়ে তিন ধাপে এসব মেশিন ক্রয় করা হবে।

মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এসময় প্রকল্পের অর্থ পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম মেশিন কেনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হবে। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব জনবলের জন্য ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ আয়োজন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

ইভিএমের যেন অপব্যবহার না হয় একনেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, বৈঠকে ইভিএমের প্রশিক্ষণ ও এর ব্যবহার শেখাতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনোভাবে এটার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইভিএমের ব্যবহার যেন গ্রাজুয়ালি করা হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মাত্র দেড় লাখ ইভিএম সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৭ লাখ টাকা। এতে প্রতি ইউনিট ইভিএমের দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। যদিও বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শেষ হবে। তার আগে ডিসেম্বরে নতুন সরকার গঠনের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ভোটের বাকি আছে মাত্র কয়েক মাস।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সরকারের বাইরে থাকা বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। ইসির সঙ্গে সংলাপসহ বাইরের বিভিন্ন আলোচনায় এসব দল ইভিএমের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন।

এর মধ্যেই গত ২৮ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানান। সেদিন ইসি সচিব বলেছিলেন, নির্বাচন আইনের সংস্কার, রাজনৈতিক দলের মতামতসহ সবকিছু ঠিক থাকলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন। এসব মেশিন ক্রয়ের জন্য খরচ হবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। পরে দেড় লাখ ইভিএম কেনার পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তাদের দেয়া প্রস্তাব আজকের একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আরপিওতো সংশোধন করতে হবে।

Bootstrap Image Preview