Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত: বার্নিকাট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৫৩ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত।

আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারবিষয়ক কর্মসূচি ‘শান্তিতে বিজয়ের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্শা বার্নিকাট এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাসহ উন্নয়ন সহযোগী ও কূটনীতিক, সাংবাদিকদের দেখে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আজ এখানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস (১৫ সেপ্টেম্বর) পালনের দুই দিন পরই একত্র হয়েছি আমরা। আমাদের অনেকের কাছেই সেটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, আজকের এ অনুষ্ঠান বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখা এবং সব নাগরিকের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে উৎসাহিত করবে। শান্তি, পারস্পরিক সহনশীলতা ও অংশগ্রহণমূলক মনোভাব—বাংলাদেশে এই সবকিছুরই রয়েছে এক জোরালো ঐতিহ্য।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের স্বাধীনতা থাকা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী-সমর্থকদের অবশ্যই নিজেদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ, প্রচার চালানো এবং ভয়ভীতি, প্রতিশোধ বা জবরদস্তিমূলক বিধিনিষেধ ছাড়া শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। ইস্যু বা নীতির বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বৈধ অংশগ্রহণকারী এবং পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য নেতা হিসেবে মেনে নিতে হবে।

মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশিদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে—সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে অহিংস আচরণ করার আহ্বান জানাতে হবে। সহিংসতা শুধু তাদেরই কাজে আসে, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ ও তার নাগরিকদের স্বার্থহানি করতে চায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আমাদের অংশীদারি অব্যাহত থাকবে, সে প্রত্যাশাই করি।

Bootstrap Image Preview