রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে সিলেটের জিন্দাবাজারে আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খুন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। আওয়ামী লীগের এই নেতাকে খুন করাতে লাখ টাকার বিনিময়ে ছাত্রদল নেতা মুরাদের সঙ্গে চুক্তি করেন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ওই নেতা।
হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক মহানগর ছাত্রদল নেতা মুরাদ হোসেন রানা রবিবার ১৬৪ ধারায় সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-২ এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
জবানবন্দিতে মুরাদ বলেন, এক লাখ টাকার বিনিময়ে তার সহযোগীদের নিয়ে আব্দুল আহাদকে হত্যার মিশনে অংশ নিয়ে ছিলেন। ঘটনার দিন রাত ৯টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকায় মুরাদ তার সহযোগীদের নিয়ে আহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরপর তারা জিন্দাবাজারে আহাদকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে তারা ছয়জন অংশ নেয়।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুপ কুমার চৌধুরী জানান, মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর মুরাদ হোসেন রানাকে সিলেট নগরের ঘাসিটুলা তার বন্ধুর বাসা থেকে আটক করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডমঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে আব্দুল আহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন।
মুরাদ হোসেন রানা সিলেট ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাবিন রাজা চৌধুরী গ্রুপের নেতা। তার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামে। তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাদের নাম জানাননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে আব্দুল আহাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আহাদ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর মেদিনী মহলের নুর মিয়ার ছেলে।