যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্সের আঘাতে শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় রাজ্যে ব্যাপক বন্যায় আটকা পড়েছে শতাধিক বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ৩০০ জনকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা।
আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে মার্কিন ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বা ফেমার কর্মকর্তা জেফ বেয়ার্ড গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, একদিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদীর পানি উপচে পড়েছে, বন্যা দেখা দিয়েছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে উদ্বেগ আরো বাড়বে। বেয়ার্ড বলেন, বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি। তবে বাতাসের চেয়ে বৃষ্টিপাতই মানুষের জন্য বেশি মৃত্যু তথা ক্ষতির কারণ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর দেয়া তথ্যমতে, ১৯৬৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আসা ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগই ঘটেছে বৃষ্টিপাতে। মাত্র ৮ ভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী বাতাস। বেয়ার্ড বলেন, আরো বৃষ্টিপাত হবে এবং বন্যা কবলিত এলাকার পরিমাণও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদদের দেয়া তথ্যমতে, আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ফ্লোরেন্সের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬ দশমিক ৯ মাইল। উত্তর ক্যারোলিনার স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর রাতে দক্ষিণ ক্যারোলিনার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আবহাওয়া অধিদফতর ঘূর্ণিঝড়টির মাত্রা ১-এ নামিয়ে আনলেও এটি নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনা এবং ভার্জিনিয়াকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।