চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা তরুণীকে বিয়ের কথা বলে সাত দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের পেকুয়া উপজেলার অক্সিজেন এলাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন (২৫) নামের ঐ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
সাজ্জাদ হোসেন মগনামার আফজালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। আর রোহিঙ্গা তরুণীর বাড়ি মিয়ানমারের বুচিডং এলাকায়।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা তরুণীটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছিল ঐ যুবক। রোহিঙ্গা তরুণী এবং স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে কৌশলে সাজ্জাদকে ধরা হয়।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গা তরুণীটি গত বছরে আগস্টে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে থাকতেন। ১০ মাস আগে কুতুপালং ক্যাম্প থেকে কৌশলে পালিয়ে চট্টগ্রাম শহরের স্টারশিপ দুধের কারখানায় চাকরি নেন তিনি। ওই কারখানাতেই চাকরি করতেন গ্রেপ্তার সাজ্জাদের বোন। সেই সূত্রে ধরেই তাদের ভেতর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ।
রোহিঙ্গা তরুণীর ভাষ্যমতে,বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাজ্জাদ ৭ সেপ্টেম্বর তাকে তার মগনামার আফজালিয়াপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। মেয়েটিকে সেখানে আটকে রেখে অনেক নির্যাতন চালানো হয়। কিছুদিন পর বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজনের নজরে আসলে তারা তাকে সাহায্য করেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ভুঁইয়া বলেন, রোহিঙ্গা তরুণীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার অভিযুক্ত যুবককে চকরিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।