ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির আয়ের পরিমান ছাড়িয়ে গেছে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০১৭/১৮ মৌসুমে ক্লাবটি আয় করেছে রেকর্ড পরিমাণ ৫০০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। গেল মৌসুমে কোচ পেপ গার্দিওলার দলটি ১০০ পয়েন্ট নিয়ে জয় করেছে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা।
ক্লাবটির আর্থিক খতিয়ান অনুযায়ী বেতন বাবদ অর্থের আনুপাতিক হারে কমার কারণে সিটি নিট আয় করেছে ১০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড। বেতন বাবদ খরচ আনুপাতিক ভাবে কমেছে ৫২ শতাংশ।
ক্লাবের চেয়ারম্যান খালদুন আল মুবারাক বলেন,‘ আমার অগ্রাভিযান এখনো শেষ হয়নি। এখনো অনেক লক্ষ্য পুরণ করতে হবে।’ তিনি বর্তমানে ক্লাবটির মালিকানার দশম বছর পুর্তি উদযাপন করছেন। আবুধাবীর ওই ধনকুবের বলেন, আমরা নতুন মৌসুমে আরো কিছু চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
এর আগে ২০০৭/০৮ মৌসুমে শেখ মনসুরের মালিকানা থেকে ক্লাবটির হাতবদল হবার সময় সিটির আয় করা রাজস্বের পরিমান ছিল মাত্র ৮৭মিলিয়ন পাউন্ড। পরে ক্লাবটিকে তুলে আনার জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন নতুন মালিক। ফলে পরবর্তী ছয় বছর তাদেরকে লোকসান গুনতে হয়েছে ৫৮৪ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী। শুধুমাত্র ইত্তিহাদ প্রশিক্ষন ক্যাম্পাস নির্মান বাবদ ব্যয় হয়েছে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বিগত চার বছর ধরে ক্লাবটি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে।
বর্তমানে টেলিভিশন সম্প্রচার, কমার্শিয়াল স্পন্সর এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবল থেকে আয়ের পরমিানের দিক থেকে নগর প্রতিদ্বনিদ্ব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে সিটিজেনরা। সেই সঙ্গে আয়ের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের পাওয়ার হাউজ বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে।